পোস্ট অফিসের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট উদ্বোধন করেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত

March 19, 2024

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বাংলাদেশ সফরে সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি জোরদার করতে এবং কাউকে পেছনে না ফেলে সরকারি সকল সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ১৯ মার্চ খুলনার কয়রায় পোস্ট অফিসের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট উদ্বোধন করেন।

ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া খুলনার কয়রা এলাকা পরিদর্শনের সময় গ্রামীণ সম্প্রদায়ের ডিজিটাল পরিষেবার উপকারভোগীসহ সরকার ও ইউএনডিপি কর্তৃক বাস্তবায়িত একাধিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উলরিকা মোদের এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক সুইডিশ মন্ত্রী জোহান ফরসেল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, এমপি এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, এমপি এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাগণ ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ।

স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট (এসএসপি) উদ্যোগ, প্রথাগত ডাক পরিষেবাগুলোর সাথে ডিজিটাল সমাধানগুলোকে একীভূত করার একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। যা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বিনির্মাণে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রতিনিধিত্ব করবে। পার্সেল ট্র্যাকিং, বিল পেমেন্ট এবং ই-কমার্স সুবিধার মতো সুযোগ-সুবিধার আয়োজন নিয়ে এই সার্ভিস পয়েন্ট বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় অভিগম্যতা ও দক্ষতার বিপ্লব ঘটাবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘ডিজিটাল সেন্টার সরকারি পরিষেবাগুলোকে তৃণমূল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে, প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোকে সহজলভ্য করে তুলছে’।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট এমন একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ, যার লক্ষ্য হচ্ছে ডাক পরিষেবাগুলোতে প্রতিটি নাগরিকের অভিগম্যতা এবং দক্ষতা উন্নত করতে প্রযুক্তি ব্যবহার করা’।

প্রতিনিধিদলটি মহারাজপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারও পরিদর্শন করেন। ডিজিটাল সেন্টার পরিদর্শনকালে, সুবিধাভোগীরা তাদের নানা ধরনের সেবা গ্রহণের বিষয় তুলে ধরেন। গ্রামীণ নাগরিকদের জন্য সরকারি পরিষেবা, আর্থিক লেনদেন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোতে অভিগম্যতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এর অবদানকে তুলে ধরেন তারা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর আওতায় বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএনডিপি-এর সহায়তায় পরিচালিত এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। এই সফরটি ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতিগুলোকে আলোকিত করতে সাহায্য করছে, যা সমাজের উন্নতির জন্য প্রযুক্তির ব্যবহারে দেশটির প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে।

ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলার, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে, এটুআই-এর যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোল্লা মিজানুর রহমান, এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উক্ত সফরে অংশগ্রহণ করেন।